Upwork এ শুধু বিডই করে যাচ্ছেন কিন্তু কাজ পাচ্ছেন না! আগে নিজেকে প্রস্তুত করুন তারপর বিড করুন!!!

Best Outsourcing Training Center in Comilla, Freelancing Training Center in Comilla

আমরা অনেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে ফ্রীল্যান্সিং এর জন্য কাজ শিখেছি অনেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোর্স করে কাজ শিখেছি আবার অনেকে বিভিন্ন বাংলা টিউটোরিয়াল এর মাধ্যমেও কাজ শিখেছি কিন্তু যারা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ফ্রীল্যান্সিং বা অনলাইনে কাজ করার জন্য কাজ শিখে থাকেন তাদের মধ্যে অনেককেই বলতে শুনা যায় যে, আমি তো খালি বিডই করে যাচ্ছি কিন্তু কাজ তো পাচ্ছি না   আবার একই জায়গা থেকে কাজ শিখে কেউ কেউ - সপ্তাহের মধ্যেই কাজ পেয়ে যান আবার নতুনদের মধ্যে অনেকেই কাজ না পেয়ে হতাশ হয়ে বলে থাকেন, এখন আর নতুনরা নাকি কাজ পায় না 
তাহলে বাস্তবতাটা কি?
নতুনদের মধ্যে কাজ না পাওয়ার হতাশা যতখানি রয়েছে তার থেকে কয়েক গুন বেশি হতাশা দেখা যায় ক্লাইন্টদের মধ্যে। আপনি কাজ না পেয়ে যতটা না বেশি হতাশ তার থেকে অনেক গুণ বেশি হতাশ এই মার্কেটপ্লেস গুলোর ক্লাইন্ট, কারন তারা দক্ষ কর্মী খুজে পায় না

কি করব তাহলে?

প্রথেমেই নিজেকে জিজ্ঞেস করুন আপনি কতটুকু শিখেছেন? কত দিন ধরে চেস্টা করেছেন? একটু ভাবুন তো, বাস্তব জীবনে ২০-২৫ হাজার টাকার একটা চাকরী করার জন্য আমরা ২০-৩০ বছর বইয়ের বোঝা বহন করে দিন রাত পরিশ্রম করেও শেষমেশ ক্যারিয়ার অনিশ্চয়তায় ভূগি, আর তাহলে ইন্টারনেট থেকে মাসে ৫০ হাজার থেকে লাখ টাকা আর করার জন্য আপনি কি মাস কস্ট করতে প্রস্তুত নন? এখন আবার অনেকেই হাসবেন যে, মাত্র মাসে ৫০ হাজার টাকা মাসে আয় করব? এইটা কি ছেলে খেলা নাকি, কিন্তু এটাই সত্য। আপনি যদি মাস ভাল করে পরিশ্রম করতে পারেন তাহলে অবশ্যই মাস পরে আপনি মাসে ৫০ হাজার+ আয় করতে পারবেন। তাহলে এবার ভাবুন, আপনি কি নিজেকে ওই রকম দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছেন

প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তনঃ

আমাদের মধ্যে সবচাইতে বেশি যে প্রবণতাটি দেখা যায় সেটি হচ্ছে, অল্প শিখে বেশি আয় করার চিন্তা। কোন ট্রেইনিং সেন্টার দুই-তিন মাসের ট্রেইনিং নিয়েই মনে করে যে সব কাজ শিখে ফেলেছি, এবার শুধু বিড করব আর কাজ করব এবং মাস শেষে হাজার হাজার ডলার গুনব। কিন্তু অবশেষে ফল হয় শূন্য। নিজেকে ভালভাবে প্রস্তুত না করার কারনে ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটে কাজই পায় না। আর তখন, সকল দোষ হয় ট্রেইনিং সেন্টারের, তখন তারা বলে থাকে, আমারা ট্রেইনিং সেন্টার থেকে কিছুই শিখতে পারি নাই অনলাইনে কাজ করা যায় না, এখানে কাজ পাওয়া যায় না, এটা ভূয়া এই ধরনের আরও অনেক কিছু 
নতুনদের মধ্যে তো আরও ভয়াবহ সমস্যা হচ্ছে, কোন সমস্যা হলে সেটার উত্তর নিজে নিজে না খোজার চেস্টা করা। আমাদের একটি সহজ অভ্যাস রয়েছে, যেখানে আমরা দুর্বল পাই, সেখানেই আঘাত করতে পছন্দ করি। কোন একজন ভাল শিক্ষক পেয়েছি কিনা, কোন ছোট খাট সমস্যা হলেও তার কাছেই জিজ্ঞেস করি। কারন, তিনি তো হেল্প করেন। কিন্তু এমনটা করার কারনেই আমরা কিছু শিখতে পারি না। নিজের সমস্যার সমাধান যদি নিজে বের করার মানসিকতা তৈরি না হয় তাহলে কোন দিনই উপরে উঠা সম্ভব নয়। আর কারো শরণাপন্ন কেবল তখনি হবেন যখন আপনি আপনার সমস্যার সমাধান অনেক চেস্টার পরেও পাবেন না। গুগলকে ব্যবহার করতে শিখুন সমস্যা সমাধানের জন্য, দেখবেন জীবন বদলে যাবে 

এইগুলা গেল অনেক বেসিক লেভেল, এইবার চলুন দেখি যারা বিড করে যাচ্ছেন কিন্তু কাজ পাচ্ছেন না কেন?

ফ্রীল্যান্স মার্কেটপ্লেসে ঢোকার আগে প্রথম শর্ত হচ্ছে, আপনাকে দক্ষ হতে হবে। আপনি যে সেক্টরেই কাজ করুন না কেন, সেই সেক্টরে মিনিমাম টি সফল প্রোজেক্ট সম্পন্ন করেই তবে ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটে কাজ করার চিন্তা করবেন। এখন আপনি জিজ্ঞেস করতে পারেন, নতুন অবস্থায় টি প্রজেক্ট করার জন্য কাজ পাব কোথায়? এটার ব্যবস্থা আছে, আপনি লোকাল কারও কাজ করুন, অথবা নিজে নিজেই কয়েকটি প্রোজেক্ট বানিয়ে সেটাতে কাজ করুন। যেমন ধরুন- আপনি এসইও এর কাজ শিখেছেন, তাহলে আগে ৫টি এসইও এর উপর প্রোজেক্ট তৈরি করুন, কারন এই টি প্রোজেক্ট আপনাকে মার্কেটপ্লেসে কাজ পেতে সাহায্য করবে 

এবার আসা যাক বিড কিভাবে করবেন সেটার উপরঃ

কাভার লেটার কোন ভাবেই কপি করা যাবে না অথবা কপি করে এডিটও  করা উচিত না। আপনার কাভার লেটার এর একটা লাইন দেখেও যেন বায়ার না মনে করতে পারে আপনি এইটা কপি করে লিখছেন। কাভার লেটার আপনার গুনগান গাওয়ার দরকার একদমই নাই। আপনি কি কি পারেন, আপনি কত বছর ধরে কাজ করছেন, আপনি কতটা ক্রিয়েটিভ এগুলি তাকে বোঝানর দরকার নেই। বায়ার আপনার কাছ থেকে এগুলি বুঝতেও চাচ্ছে না। আর আমরা এখানেই ভুল করি, কত বছর এর অভিজ্ঞতা, এইটা সেইটা লিখে কাভার লেটার লিখি আর বায়ার হয়ত সেটা এক লাইন পড়ে আর পড়ে না
মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার প্রধান শর্ত হচ্ছে একটু সাজানো গোছানো ছোট্ট এবং চমৎকার কভার লেটার। কারন, আপনি যখন কোন কাজে বিড করবেন তখন ক্লাইন্ট সর্বপ্রথম আপনার বিডের কভার লেটার টাই দেখবেন। আর তাই কভার লেটার হওয়া উচিত মান সম্মত। কভার লেটার অবশ্যই নিজের হাতে লিখবেন এবং কভার লেটারে শুধু তাই লিখবেন যেটা ক্লাইন্ট জানতে চেয়েছেন। কারন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ক্লাইন্ট তার কাজের সাথে কোন প্রশ্ন যুক্ত করে দেয়, যেমন-
1.      What part of this project most appeal to you?
2.      What question do you have about the project?
3.    What three things do you plan to implement to make the company’s marketing strategy effective? 
এই ধরনের প্রশ্ন দেখে অনেকেই ঘাবড়ে যান, ভেবেই পান না কি লিখবেন এর উত্তরে? কিন্তু আপনি কি জানেন, কাজ পাওয়ার জন্য এই প্রশ্ন গুলোই সবচাইতে বড় সহায়ক, (প্রশ্ন গুলোর উত্তর  জানতে ক্লিক করুন) এগুলোই হচ্ছে লক্ষভেদের উপায়? এই গুলোর উত্তর যদি সঠিকভাবে দিতে পারেন তাহলে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা ৯৫% বেড়ে যায়। কারন এই প্রশ্ন গুলোর মাধ্যমে আপনি ক্লাইন্টকে ওই প্রজেক্ট সম্পর্কে আপনার পরিকল্পনার কথা জানাতে পারেন। আর হ্যা, অবশ্যই অবশ্যই কভার লেটার এবং প্রশ্ন গুলোর উত্তর এমনভাবে দেয়ার চেস্টা করবেন যাতে করে ক্লাইন্ট সেটাতে ইন্টারেস্ট ফিল করে, ক্লাইন্টের মনে যেন এমন ভাবনা আসে যে হ্যা, আপনি কিছু জানেন। আপনাকে দিয়ে কাজটা হবে। যদি ক্লাইন্টের মনে এমন ভাবনা জাগাতে পারেন তাহলেই আপনি সার্থক। সব সময় মাথায় রাখবেন, এমন কাজে বিড করবেন না যেটা আপনি পারেন না, শুধুমাত্র সেই কাজ গুলোতেই বিড করবেন যেটা আপনি পারবেন এবং আপনি সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী। আর ক্লাইন্টের সাথে সব সময় ওপেন ভাবে কথা বলুন, এত স্যার স্যার করার কিছুই নেই, এখানে আপনার আর ক্লাইন্টের সম্পর্ক হচ্ছে টাকার সম্পর্ক, সেখানে এত স্যার বলে ডাকার কিছু নেই, আপনি কাজ পারেন ব্যাস করে দিবেন। তাই ক্ল্যাইন্টের সাথে ফ্রেন্ডলী এবং ভাল সম্পর্ক স্থাপনের চেস্টা করুন। শুরুতেই ক্লাইন্টকে বোঝানোর চেস্টা করুন আপনিই তার কাজের জন্য পারফেক্ট এবং আপনি ক্লাইন্টের কাজ সঠিক সময় করে দিতে পারবেন 

আরও একটি সমস্যাঃ

আমাদের আরও একটি সমস্যা হচ্ছে, ধৈর্য্য না থাকা। আমরা মনে করি - টা বিড করেই কাজ পেয়ে যাব। কিন্তু আপনি কি নিজেকে একবার জিজ্ঞেস করে দেখেছেন, ক্লাইন্ট যে আপনাকে কাজটি দিবে তার জন্য আপনি নিজে কতটা পারফেক্ট?

2 comments: