Upwork এ জব সাক্সেস রেট ঠিক রাখুন

Green IT,Best Outsourcing Training Center in Comilla, Outsourcing Training Center in Comilla
আপনার সাথে ক্লায়েন্ট এর একটা ছোট কিন্তু ভালো কাজ আপনাকে পুনরায় হায়ার করতে সাহায্য করবে। তারা সহজে আপনাকে রিকমেন্ড করবে এবং অন্য ক্লায়েন্ট এর কাছে নিজে থেকে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিবে। আর আপওয়ার্ক এর নতুন পলিসি অনুযায়ী আপনার সাক্সেস রেটই  আপনার জব পাওয়ার একমাত্র চাবি কাঠি।  আপনার সাক্সেস রেট বাড়ানোর কিছু কৌশল বর্ননা করা হলঃ

আপনার বাস্তব জব মার্কেট বলেন আর অনলাইন জব মার্কেটই বলেন আপনার কাজের পূর্ব ইতিহাস আপনার ভবিষ্যত ক্লায়েন্ট এর কাছে সবচাইতে বেশি গুরুত্ব পায়। আর জব সাক্সেস রেট আপনার পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতার সামগ্রিক চিত্র। আপনার মার্কেটপ্লেস সার্চ র‍্যাঙ্ক ও আপনার জব সাক্সেস রেটে এর উপরে নির্ভর করে

কোন প্রজেক্ট এক্সেপ্ট করার আগে কি করবেন:

আপনি যে কাজে বেশি আগ্রহী বা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, শুধুমাত্র সেসব কাজেই এপ্লাই করুন। তার মানে এই না যে আপনার সামনে যেসব কাজ আসবে তাতেই বিড করবেন। আপনি আপনার ক্রাইটেরিয়া, বাজেট এবং সময় অনুযায়ী কাজ বাছাই করার অভ্যেস গড়ে তুলুন। এখানে আরো কিছু কি পয়েন্ট দিলাম ব্যাপারে
. জব এর ব্যাপারে ভালো মতো বিস্তারিত পড়ুন
আপনি সিওর হয়ে নিন এই কাজ টি করার জন্য কি কি ধরনের স্কিল এবং টুল্স প্রয়োজন। আপনার কি সেসব স্কিল সম্পর্কে ধারনা আছে, অথবা আপনার স্কিল এর মধ্যে এসব পড়ে কি না সে সম্পর্কে অবশ্যই সিওর হয়ে নিবেন
. সময় আছে তো ?
কাজ এর জন্য কতটা সময় প্রয়োজন এবং ক্লায়েন্ট এর হাতে কতটা সময় আছে সে সম্পর্কে একটা খসড়া হিসেব করে নিন। আপনার সময় আছে কি না সে সম্পর্কে সিওর হয়েই কাজে বিড করার সিদ্ধান্ত নিন। যথাসময়ে কাজ জমা দিতে না পারলে আপনি সেটা ক্লায়েন্ট কে বলে নিতে পারেন, তার কাজ এর জন্য আরো বেশি সময় দিতে পারবে কি না। ডেডলাইন মিস মানে কিন্তু ক্লায়েন্ট মিস
. আপনি নিজে কাজের জন্য ফিট তো ?
আপনি কাজের জন্য ফিট আছেন কি না সেটা আপনি শুধু জানেন। কিন্তু শুধুমাত্র আপনার জানাটা যথেষ্ট না। আপনি ক্লায়েন্ট কে কতটা প্রেজেন্ট করতে পারছেন তার উপরে কিন্তু ক্লায়েন্ট এর ভরসা তৈরি হবে। আপনি আপনার কাজের ছক এবং বিস্তারিত লিষ্ট আকারে উপস্থাপন করুন। এতে ক্লায়েন্ট এর ভরসা বাড়বে আপনার উপর
. ক্লায়েন্ট কেও প্রশ্ন করুন
শুধু একজন ভালো ওয়ার্কার একাই একটা সফল কাজ নামাতে পারে না। ক্লায়েন্ট এর দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে জেনে নিন। সে কতটা কাজের ব্যাপারে তথ্য এবং অভিজ্ঞতা রাখে সে ব্যাপারে ক্লিয়ার ধারনা থাকলে কাজ বোঝানো টা সুবিধা হয়। আপনার যদি মনে হয় ক্লায়েন্ট কাজ এর জন্য সুবিধার না তাহলে সরাসরি না বলে দেওয়াই উত্তম

নতুন প্রজেক্ট পেয়ে কি করবেন:

আপনি নতুন কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই একটা প্রবলেমেএ পড়বেনকিভাবে শুরু করবো সবচাইতে ভালো মাধ্যম হলো ক্লায়েন্ট এর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা এবং কাজের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করে নেয়া। এখানে সাধারন কিছু পদ্ধতি বলে দিলাম আপনাদের জন্য-
. ক্লায়েন্ট এর সাথে কথা বলুন
ফোন হোক, স্কাইপি হোক কিংবা ইমেইল হোক। কাজ পেয়ে ক্লায়েন্ট এর সাথে কাজের ব্যাপারে কথা বলুন। ডেডলাইন টা আরেকবার ক্লিয়ার হয়ে নিন
. দুজনে কিভাবে কাজ করবেন ঠিক করুন
আপনি ক্লায়েন্ট এর এভেইলেবল সময় এবং আন-এভেইলেবল সময় সম্পর্কে জিগ্গেস করতে ভুলবেন না। এমনকি কাজের ব্যাপারে ডিসকাস করার জন্য ক্লায়েন্ট এর বেষ্ট সময় টা জেনে নিন। আলোচনা করে ঠিক করুন কখন কাজের ব্যাপারে কথা বলতে পারবেন
. ডেডলাইন ঠিক করুন
আপনার সম্ভাব্য ডেডলাইন সম্পর্কে স্পেসিফিক হয়ে ক্লায়েন্ট কে জানান। আমি বার বার ডেডলাইন এর ব্যাপারে বলছি মানে আপনার কাজের জন্য এটা সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ন। আপনি যদি কোন কারনে ডেডলাইন মিস করেন তবে অবশ্যই মার্কেটপ্লেস এর মেসেজ সিস্টেম এর মাধ্যমে জানান। যাতে করে এটা সিস্টেম রিভিউয়ারদের নজরে আসে
. আপনার কি কি প্রয়োজন একবারে জেনে নিন
আপনি একটা লিষ্ট করতে পারেন আপনার প্রজেক্ট এর জন্য কি ধরনের তথ্য বা ম্যাটেরিয়াল লাগতে পারে। বার বার জিগ্গেস করার চাইতে একবারে এসব বিষয়ে আলোচনা করে নিলে বেশি ভালো হয়। যেমন পাসওয়ার্ড কিংবা লোগো ফাইল কিংবা হতে পারে কোন স্পেশাল পারমিশন। আপনি লিষ্ট করে ক্লায়েন্ট এর কাছে থেকে একবারে সবকিছু সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন
. সরাসরি বলার অভ্যাস করুন
আপনার কোন ব্যাপারে অস্বস্তি থাকলে কিংবা কোন কিছু নিয়ে সমস্যা থাকলে ক্লায়েন্ট কে সরাসরি বলুন যাতে করে সে অনুযায়ী সে প্ল্যান করতে পারে

প্রজেক্ট কাজ করার সময় কি করবেন:

ভালো কাজ এর জন্য রেসপন্সিভ হওয়া মাষ্ট। এর বিকল্প নেই এছাড়া ক্লায়েন্ট এর মাতমত কে গুরুত্ব দেয়া এবং নিজস্ব রুচি এবং আইডয়া সম্পর্কে আলোচনা করে নেওয়া যেতে পারে
. আপনিই উদ্যগি হয়ে যোগাযোগ করুন
আপনি ডেলাইন এর আগেই কাজ কমপ্লিট করতে পেরেছেন ? সমস্যা নাই। ক্লায়েন্ট কে জানান আপনি কথা বলার জন্য প্রস্তুত এবং তাঁর সময় অনুযায়ী সে ব্যাপারে আলোচনা করুন
. আবারো ডেডলাইন নজর দিন
আপনি ডেডলাইন এর কিছু আগেই আপনার নিজের ডেডলাইন ঠিক করুন। কোন কারনে ডেডলাইন মিস হবার সম্ভাবনা থাকলে ক্লায়েন্ট কে জানান আপনার নেক্সট ডেডলাইন কবে হতে পারে
. প্রশ্ন করুন
আপনি সবকিছু হয়তো প্রথম মিটিং জেনে নিতে পারবেন না। কাজের সময়ে কোন তথ্য বা কোন ম্যাটেরিয়াল এর প্রয়োজন পড়লে হেজিটেশান না ভুগে জিগ্গেস করে ফেলুন। এটা আপনার জন্য একটা পজিটিভ মার্ক
. সজাগ থাকুন
ক্লায়েন্ট এর ইমেইল বা মেসেজ এর উত্তর দিতে চেষ্টা করুন। ক্লায়েন্ট আপনার কাছে উত্তর না পেয়ে বা দেরিতে উত্তর পেয়ে আপনার উপর হাল ছেড়ে দিতে পারে
. আপনার কাজের ফিডব্যাক দিতে বলুন

আপনি ফিডব্যাক চাইতে লজ্জা করবেন না। আপনার ফিডব্যাক প্রয়োজন না থাকতে পারে কিন্তু আপনি যে কাজ করেছেন সে কাজের ফিডব্যাক নিন। ফিডব্যাক সম্পর্কে উদাসীন থাকলে সেটা আন-প্রফেশনাল হিসেবে গন্য হবে। আপনার ফিডব্যাক এর প্রতি স্ট্রেইট ফরওয়ার্ড হন। 

No comments:

Post a Comment